Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুর

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলনে ১৯৯৮ সালে মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর-এর জমি অধীগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে ২০০৬ সালে অত্র উপ-কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে তৎকালীন সময়ে ইচ্ছা থাকা সত্তেও প্রয়োজনীয় পরিমান জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয় নাই। বর্তমানে অত্র উপ-কেন্দ্রে সর্বমোট ৯.৮৫ একর জমি আছে, যাহা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ উপ-কেন্দ্রটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলে অবস্থিত। ফরিদপুর অঞ্চল ০৫ (পাঁচ) টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত। জেলাগুলো হলো ফরিদপুর, রাজবাড়ি, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। ইতোমধ্যে ফরিদপুরকে বিভাগে উর্ত্তীন করে “পদ্মা” নামক বিভাগ নামকরণ করার কথা বলা হয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, কালোজিরাসহ প্রায় সকল মসলা ফসলই এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মসলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ (২০২০ এর বিবিএস অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বমোটঃ ২১৯৫৫৫৮ মে.টন এবং ফরিদপুর অঞ্চলঃ ৬৯১৪২৩ মে. টন) । ফলে ফরিদপুর অঞ্চলকে মসলার ভান্ডার বলা হয়ে থাকে। মসলা ফসলের “কাল সোনা” নামে খ্যাত পেঁয়াজ বীজের সিংহভাগই (প্রথম স্থান) এ অঞ্চলে উৎপাদিত হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত পেঁয়াজের বীজই সারা বাংলাদেশে সরবরহ করা হয়ে থাকে। মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুর অঞ্চলে অবস্থিত হলেও এ উপ-কেন্দ্রটির কার্যক্রম বরিশাল অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। বরিশাল অঞ্চল বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখলী, বরগুনা জেলার সমন্বয়ে গঠিত। অত্র উপ-কেন্দ্রটি বাংলাদেশের মসলা জাতীয় ফসলের জাতীয় সমস্যার পাশাপাশি ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলের সর্বমোট ১১ (এগার)টি জেলার মসলা ফসলের অঞ্চলিক সমস্যা যেমন- লবনাক্ততা, বন্যা ইত্যাদির উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ফলে মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরের Working Area অনেক বিস্তৃত।

জনগণের মসলা জাতীয় খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র প্রায় দের-দশক ধরে মসলা জাতীয় ফসলের উপর গবেষণা, সমপ্রসারণ, প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, কর্মশালা বাস্তবায়ন, জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে কৃষি মেলায় অংশ গ্রহণ, বিটিভি সহ অন্যান্য ইলিকট্রিক মিডিয়ায় প্রামান্য চিত্র উপস্থাপন করে আসছে। বিগত তিন বৎসরে মসলা জাতীয় ফসলের ০৫টি অগ্র্ববর্তী লাইন পাওয়া গিয়েছে, যা ভবিষ্যতে জাত হিসাবে অবমূক্তির জন্য প্রস্তাব করা হতে পারে। বিভিন্ন মসলা ফসলের ৩০ টি  জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ফসলের উৎপাদন প্রযুক্তি এর উপর ০৩ টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিগত ৫ (পাঁচ) বছরে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ ও এনজিও কর্মী এবং কৃষকসহ প্রায় ১৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২ (দুই) টি সেমিনার/ওয়ার্কসপের মাধ্যমে ২০০ জন কর্মকর্তাকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩ (তিন) বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কৃষকের মাঝে বিভিন্ন মসলা ফসলের প্রায় ০৭ (সাত) মেট্রিক টন বীজ/বীজ বাল্ব/বীজ রাইজোম ও প্রায় ০৬ লক্ষ চারা/কলম/কাটিং বিতরণ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠা:

এই গবেষণা কেন্দ্রটি 2006 সালে বাহিরদিয়া, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুরে মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র (SRSC), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI), ফরিদপুর, বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মসলা গবেষণা কেন্দ্র (SRC), BARI, শিবগঞ্জ, বগুড়ার উপকেন্দ্র। বর্তমানে, স্টেশনটির নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শাখার দুইজন বিজ্ঞানী।

অবস্থান:

SRSC, ফরিদপুর ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী রাস্টার মোড় থেকে ঢাকার দিকে প্রায় 3.50 কিলোমিটার উত্তরে ফরিদপুর-ঢাকা হাইওয়ের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। স্টেশনটি এগ্রো ইকোলজিক্যাল জোন (AEZ) নম্বরের অন্তর্গত। 12 (নিম্ন গঙ্গা নদীর প্লাবনভূমি)। SRSC, ফরিদপুরের ভৌগলিক স্থানাঙ্কগুলি হল 23̊ 11̍ N এবং 89̊ 09̍ E। উপরন্তু, এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 12 মিটার।

মোট জমির পরিমান : ৩.৯৮ হেঃ

(i) মোট এলাকা: 3.98 হেক্টর
(ii) গবেষণা এবং বীজ গুণের এলাকা: 2.82 হেক্টর
(iii) অবকাঠামো এলাকা
(a) অফিস এলাকা: 0.22 ক
(খ) আবাসিক এলাকা: 0.26 হেক্টর
(গ) অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং অন্যান্য: 0.68 হেক্টর
জলবায়ু:
(i) বৃষ্টিপাত: 55.6 মিমি
(ii) তাপমাত্রা (C):
সর্বোচ্চ: 31.51
সর্বনিম্ন: 12.25
গড়: 25.38
(iii) আর্দ্রতা (গড়): 85.77

কর্মকর্তা ও কর্মচারীঃ

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ০১ জন
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ০২ জন
বৈজ্ঞানিক সহকারী ০৩ জন
খামার তত্বাবধায়ক ০১ জন

অন্যান্য কর্মচারী ০৫ জন

শ্রমিক ২৩ জন